রান্নায় ব্যবহার করা সব মসলাপাতি বা ফোড়নের স্বাদ বৃদ্ধি করা ছাড়াও নিজস্ব কিছু ভেষজ গুণ আছে কালিজিরার।
কেবলমাত্র গুণাগুণের জন্যই নিয়মিত খাওয়া যেতে পারে কালিজিরা। নিচে তেমন কিছু কারণ তুলে ধরা হলো-
১. কালিজিরাতে রয়েছে প্রচুর অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। এগুলো প্রদাহ নিরাময় করে। অক্সিডেটিভ স্ট্রেস হ্রাস করে। লিভারকে সুরক্ষিত রাখে। রাসায়নিকের বিষক্রিয়া কমাতে পারে কালিজিরা। লিভার ও কিডনিকে ক্ষতির হাত থেকে রক্ষা করে।
২. ডায়বেটিসের ক্ষেত্রে দারুণ কাজ করে এটি। কালিজিরার তেল ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ রাখতে সহায়তা করে।
৩. ত্বকের সমস্যায় সহায়তা করে লেবু কালিজিরার টোটকা। ত্বকে ব্রণ ও তার দাগ অদৃশ্য হয়ে যায়।
৪. ওজন নিয়ন্ত্রণ করতে কালিজিরা দারুণ কাজ করে। রুটি, ওটমিল, তরকারি ও টক দইয়ের সঙ্গে খেলে উপকার পাওয়া যায়।
৫. মাথাব্যথা কমাতে কালিজিরার তেল একটি পুরোনো ঘরোয়া প্রতিকার। এটি দিয়ে মাথার ত্বকের মালিশ করলে উপকার পাবেন।
৬. জয়েন্টের ব্যথায় সরষের তেলের সঙ্গে কালিজিরার তেল গরম করে লাগালে উপশম হয়।
৭. রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে শক্তিশালী করে কালিজিরা। নিয়মিত কালিজিরা খেলে শরীরের প্রতিটি অঙ্গপ্রত্যঙ্গ সতেজ থাকে। যে কোনো জীবাণুর বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে, লড়াই করতে সহায়তা করে। সার্বিক ভাবে স্বাস্থ্যের উন্নতি হয়।
৮. যারা হাঁপানি বা শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যায় ভুগে থাকেন তাদের জন্য কালিজিরা খুবই উপকারী।
৯. সর্দি-কাশিতে আরাম দেয় এটি। পাতলা সুতির পরিষ্কার কাপড়ে কালিজিরা বেঁধে শুকলে, সর্দি কমে। পাশাপাশি, কালিজিরা, মধু ও তুলসীপাতার রস মিশিয়ে খেলে জ্বর, ব্যথা, সর্দি-কাশি কমে। বুকে কফ বসে গেলে কালিজিরা বেঁটে, মোটা করে প্রলেপ দিলে সমস্যা কমে।
১০. নিয়মিত কালিজিরা খেলে দেহে রক্ত সঞ্চালন ভালো হয়। এতে করে মস্তিষ্কে রক্ত সঞ্চালনের বৃদ্ধি ঘটে, যা আমাদের স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে।
১১. নিয়মিত কালিজিরা খাওয়ালে শিশুর দৈহিক ও মানসিক বৃদ্ধি দ্রুত হয়।
১২. প্রসূতি মায়েদের বুকের দুধ বৃদ্ধিতেও মহৌষধ কালিজিরা।
১৩. চুলের অনেক সমস্যায় কালিজিরা উপকার করে। চুলের গোড়ায় পুষ্টি দিতে, চুলের বৃদ্ধি ভালো করতে, চুল পড়া বন্ধ করতে কাজ দেয়।